Left and Right Click

Thursday, October 15, 2020

স্বামীজীর দূর্গাপূজা করার ইছা [Swamiji's Wish for Durga Puja]

 

স্বামীজীর দূর্গাপূজা করার ইছা

স্থান - বেলুড় মঠ

কাল ১৯০১


স্বামীজী - ওরে, একখানা রঘুনন্দনের 'অষ্টাবিংশতি-তত্ত্ব' শিগগির আমার জন্য নিয়ে আসবি|

শিষ্য - আচ্ছা মহাশয়| কিন্তু রঘুনন্দন স্মৃতি - যাহাকে কুসংস্কারের ঝুড়ি বলিয়া বর্তমান শিক্ষিত সম্প্রদায় নির্দেশ করিয়া থাকে, তাহা লইয়া আপনি কি করিবেন?

স্বামীজী - কেন? রঘুনন্দন তদানীন্তন কালের একজন দিগগজ পন্ডিত ছিলেন, প্রাচীন স্মৃতিসকল সংগ্রহ  করে হিন্দুর দেশকালোপযোগী নিত্যনৈমিত্তিক ক্রিয়াকলাপ লিপিবদ্ধ করে গেছেন| সমস্ত বাংলা দেশ তো তার অনুশাসনেই আজকাল চলছে| তবে তৎকৃত হিন্দুজীবনের গর্ভধান থেকে শ্মশানান্ত আচার প্রণালীর কঠোর বন্ধনে সমাজ উৎপীড়িত হয়েছিল| শৌচে- প্রস্রাবে, খেতে- শুতে, অন্য সকল বিষয়ের তো কথাই নেই, সব্বাইকে তিনি নিয়মে বদ্ধ করতে প্রয়াস পেয়েছিলেন| সময়ের পরিবর্তনে সে বন্ধন বহুকাল স্থায়ী হতে পারল না| সর্বদেশে সর্বকালে ক্রিয়াকান্ড, সমাজের আচার প্রণালী সর্বদাই পরিবর্তন হয়ে যায়| একমাত্র জ্ঞানকান্ডই পরিবর্তন হয় না| বৈদিক যুগেও দেখতে পাব ক্রিয়াকান্ড ক্রমেই পরিবর্তন হয়ে গেছে| কিন্তু উপনিষদের জ্ঞানপ্রকরণ আজ পর্যন্ত একভাবে রয়েছে| তবে তার Interpreters (ব্যাখ্যাতা) অনেক হয়েছে এইমাত্র|

শিষ্য - আপনি রঘুনন্দনের স্মৃতি লইয়া কি করিবেন?

স্বামীজী - এবার মঠে দুর্গোৎসব করবার ইছা হচ্ছে| যদি খরচার সংকুলান হয় তো মহামায়ার পূজা করব| তাই দুর্গোৎসব বিধি পড়বার ইছা হয়েছে| তুই আগামী রবিবার যখন আসবি, তখন ঐ পুস্তকখানা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবি|

শিষ্য - যে আজ্ঞা|


সংকলন: বেলুড় মঠে স্বামীজীর দুর্গাপূজা (স্বামী দেবেন্দ্রানন্দ) [উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা]

No comments:

Post a Comment